আজ প্রকাশ হচ্ছে না মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল। সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল নিয়ে প্রায় ৭০ হাজার ফলাফলপ্রত্যাশী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করলেও চূড়ান্ত জাতীয় মেধাতালিকা প্রণয়নের কাজ এখনও সম্পন্ন করতে পারেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ফল প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব আজ (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বলেন, পরীক্ষার ফল ঘোষণার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা দ্রুত ফলাফল প্রকাশে কয়েক দিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল
তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি ফল প্রকাশ করা যায় তত সবার জন্যই মঙ্গল।
গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীসহ সারাদেশের ১৯টি কেন্দ্রের ৩২টি ভেন্যুতে সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এ ভর্তি পরীক্ষা হয়। ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাধারণ জ্ঞানে ১০ নম্বর ছিল।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল দেখার নিয়ম
এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সরকারি ৪ হাজার ৬৮টি ও বেসরকারি ৬ হাজার ৩৩৬টিসহ ১০ হাজার ৪০৪টি আসনের বিপরীতে ৭২ হাজার ৯২৮ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করলেও শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে অনুপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের পর পরই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এবার ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হতে পারে। ফলাফল প্রকাশে চারদিন লাগতে পারে। তার কথানুসারে আজ ফলাফল প্রকাশিত হতে পারে এমনটা সবাই ভেবেছিলেন।
কিন্তু পরীক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব জানান, আজ ফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামীকাল ফল প্রকাশের সম্ভাবনা থাকলেও তিনি নিশ্চিত করে দিনক্ষণ বলতে এখনও রাজি নন তিনি।
তিনি বলেন, গত বছর পর্যন্ত শুধু উত্তরপত্র (এ-৪ আকারের কাগজ) স্ক্যান করা হতো। আকারে ছোট হওয়ায় এতে সময় কম লাগত। কিন্তু এবার ভিন্ন পদ্ধতিতে বড় আকারের (এ-৩ আকারের কাগজ) আইসিআর মেশিনে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
তারা জানান, এ বছর পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দুটোই পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরে আসার পর প্রশ্ন ও উত্তরপত্র আলাদা করে শুধু উত্তরপত্র স্ক্যানিং করা হচ্ছে। এতে সময় বেশি লাগছে। তাছাড়া কাগজের সাইজ বড় হওয়ায় স্ক্যানিংয়েও সময় বেশি লাগছে।