Finance assignment

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, এসএসসি ২০২৪ ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ৬ষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে তোমাদেরকে বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ শিরোনামে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে। আজ তোমাদের জন্য ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৬ষ্ঠ সপ্তাহে দেওয়া ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করার চেষ্টা করবো যাতে তোমরা খুব ভালোভাবে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারো এবং ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারো।

তোমরা কোনোভাবেই এখান থেকে সরাসরি কপি করবেনা শুধু এখান থেকে ধারণা নিয়ে বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ সংক্রান্ত এসএসসি ২০২৪ ৬ষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করবে।

এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ ষষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং

বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ শিরোনামে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৪ ষষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রশ্নগুলো নিচের ছবিতে দেওয়া আছে। তোমরা প্রথমে অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নে প্রদত্ত শিরোনাম, পাঠ্যসূচী ও নির্দেশনাগুলো ভালোভাবে পড়ে নাও যাতে লিখতে সহজ হয়।

নিচের ছবিতে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং ষষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট দেখে নাও

https://i.imgur.com/lveqLoD.jpg

অ্যাসাইনমেন্ট: বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ;

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):

১। অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে উদাহরণসহ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে

২। উদাহরণসহ ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার পার্থক্য ব্যাখ্যা করতে হবে

৩। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়ােগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকির শ্রেণি ব্যাখ্যা করতে হবে

৪। নিম্নের তথ্যের আলােকে আদর্শ বিচ্যুতির মান নির্ণয় করে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ করতে হবে

তথ্য : দুটি বিনিয়ােগ ক্ষেত্র যথাক্রমে ‘অরণ্য’ ও ‘অনন্য। অরণ্য’ হতে বিগত ৪ বছরের অর্জিত আয়ের হার যথাক্রমে ২০%, ২৫%, ১০% ও ৫% এবং ‘অনন্য’ হতে বিগত ৪ বছরের আয়ের হার যথাক্রমে ১০%, ১৫%, ১৮% ও ১৭%

বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ

ক. ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা:

ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার ধারণা ব্যাখ্যা করা হলো: মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকে। মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের নেয় ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম অনিশ্চয়তা পরিলক্ষিত হয়। উদাহরণস্বরূপ ভবিষ্যতে কোম্পানির পণ্যের আশানুরূপ বিক্রয় হবে কিনা, প্রত্যাশিত মুনাফা অর্জন করতে পারবে কিনা, প্রত্যাশিত মূল্যে ক্রয় করতে পারবে কিনা এরূপ অসংখ্য অনিশ্চয়তার থাকে। এসব অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সিদ্ধান্তের প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশিত ফলাফল এর চেয়ে কম বা বেশি হয়।

প্রকৃত ফলাফল প্রত্যাশিত ফলাফল থেকে ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনাকে ব্যবসায় অর্থায়ন এর ঝুঁকি বলা হয়। যেমন কোম্পানি আশা করছে আগামী বছর ২০% নিট মুনাফা লাভ করবে কিন্তু প্রকৃত লাভ হলো ১৫%। এখানে এই ৫% বিচ্যুতি ঝুঁকি উৎস। বিনিয়োগকারীর এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রত্যাশার থেকে প্রার্থী একটি ব্যবধান থাকে এবং এ ব্যবধান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ঝুঁকি সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য কোন বিনিয়োগকারীর প্রত্যাশিত আয় থেকে প্রকৃত আয় বেশি হলেও যুগের সৃষ্টি হতে পারে। যেমন উক্ত বিনিয়োগকারী প্রতি শেয়ারে যখন ১৫ টাকা লভ্যাংশ প্রত্যাশা করে বছর শেষে ৫ টাকা লভ্যাংশ পায়। এখানে এই ৫ টাকা বিচ্যুতির ঝুকির উৎস বলে বিবেচিত। কারণ ওই অবস্থায় প্রকৃত আয় কেন প্রত্যাশিত আয় থেকে বেশি হল সেই কারণ বিনিয়োগকারীর কাছে অজানা এই কারণে সেটা ও ঝুঁকি।

খ. ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার পার্থক্য:

ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে পার্থক্য : ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি সিদ্ধান্তের সাথে কিছু না কিছু ঝুঁকি জড়িত থাকে। এসব ঝুঁকির কারণে প্রতিষ্ঠান কাঙ্খিত ফলাফল না পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ফলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে এসব ঝুঁকির যথাযথভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হয়। যদিও অনিশ্চয়তা থেকে যুগের সৃষ্টি হয় ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত সব অনিশ্চয়তা ঝুঁকি নয়।

পূর্বেই বলা হয়েছে খারাপ কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় হচ্ছে ঝুঁকি। কিন্তু খারাপ কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় কেমন তা যদি জানা না থাকে তবে সে অনিশ্চয়তাকে ঝুঁকি বলা যায় না। অন্যভাবে বলা যায় অনিশ্চয়তার যে অংশটুকু পরিমাণ করা যায় সে অংশকে বলা হয়। কিছু কিছু অনিশ্চয়তায় আছে যা পরিমাপ করা যায় না উদাহরণস্বরূপ একটি কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তার মৃত্যু হতে পারে এটা একটা অনিশ্চয়তার কিন্তু এই অনিশ্চয়তাকে পরিমাপ করা যায় না। ফলে এই রকম অনিশ্চয়তাকে ঝুঁকি বলা যায় না দ্বিতীয়ত ঝুঁকি পরিমাপ করা যায় বলে বিভিন্ন করে ঝুঁকির পরিমাণ কমানো যায়।

কিন্তু অনিশ্চয়তাকে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে কমানো বা পরিহার করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ ভূমিকম্পের কারণে কোন কোম্পানির অফিস দালান ভেঙে যেতে পারে কিন্তু ভূমিকম্প কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে নেই বলে এই অনিশ্চয়তাকে কোম্পানি পরিহার করতে পারে না।

পক্ষান্তরে আগামী বছর কোম্পানি বিক্রি কমে যাওয়ার আশঙ্কা ঝুঁকি কারণ এই যুগের পরিমাপ করা যায় এবং এর ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য কোম্পানি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। যেমন অগ্রিম বিক্রি করতে পারে। অর্থাৎ বলা যায় ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তার দুটি এক জিনিস নয়।

গ. ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়ােগকারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ঝুঁকির শ্রেণি;

ঝুঁকি এর চারটি প্রকারভেদ

সেই ঝুঁকি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সফলভাবে চালানোর জন্য বিভিন্ন রকম পরিচালনা ব্যয় সৃষ্টি হয়। উদাহরণস্বরূপ কাঁচামাল ক্রয় শ্রমিকদের বেতন অফিস ভাড়া বীমা খরচ ইত্যাদি এসব পরিচালনা খরচ পরিষদের অক্ষমতা থেকে ব্যবসায় ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। কোন কোম্পানির পরিচালনা ব্যয় মেটানোর ক্ষমতা নির্ভর করে বিক্রয় থেকে আয়রে স্থিতিশীলতা এবং পরিচালনা খরচের মিশ্রণ অর্থাৎ এবং চলতি খরচের অনুপাত এর ওপর।

বিক্রয় আয় স্থিতিশীলতা না থাকলে অর্থাৎ বিক্রয়লব্ধ কোন সময় আয় বেশি আবার কোন সময় কম হলে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা ব্যয় মেটাতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। আবার পরিচালন ব্যয় স্থায়ী খরচ যেমন অফিস ভাড়া বীমা খরচ ইত্যাদি পরিমাণ বেশি হলে ব্যবসায় ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। যদি কোম্পানিটির সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করে থাকে অর্থাৎ তখন মুনাফা সংক্রান্ত এই অনিশ্চয়তাকে ব্যবসায়িক ঝুকি বলে ।

আর্থিক ঝুঁকি: এই ধরনের ঝুঁকি বহিঃস্থ উৎস থেকে অর্থায়নের থেকে সৃষ্টি হয় ।যে প্রতিষ্ঠান ঋণের মাধ্যমে সংগ্রহীত তহবিল বেশি সেই প্রতিষ্ঠান আর্থিক ঝুঁকি বেশি। কারণ ঋণ মূলধনের জন্য সুদ প্রদান করা বাধ্যতামূলক।

উদাহরণস্বরূপ কোন কোম্পানির যদি ১৫% হারে ৫০ লক্ষ টাকার ৫ বছর মেয়াদী বন্ড বিক্রি করে তাহলে প্রতি বছর ৭৫০০০০ টাকা সুদ এবং পাঁচ বছর শেষে ৫০ লক্ষ টাকা পরিশোধের দায় সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন দায় পরিশোধ করতে না পারলে ঋণ সরবরাহকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে। এবং কোম্পানির দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে এর দায় পরিশোধের অক্ষমতা থেকে ঝুঁকি সৃষ্টি হয় তাকে আর্থিক ঝুঁকি বলা হয়।

সুদ হারের ঝুঁকি: যেসব বিনিয়োগকারী বন্ড ডিবেঞ্চার ইত্যাদি ক্রয় করে তাদেরকে সুদহারে ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয়। কারণ বাজারে সুদের হারের পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের বিনিয়োগের মূল্য উঠানামা করে। সুদের হার বাড়লে এসব বিনিয়োগের অর্থাৎ বন্ড ডিবেঞ্চার এর বাজার মূল্য কমে আবার সুদের হার কমলে এসব বিনিয়োগের বাজার মূল্য বাড়ে। সুদের হারের পরিবর্তনের কারণে বিনিয়োগ এর মূল্য হ্রাসের আশঙ্কাকে সুদের হারের ঝুঁকি বলা হয়।

তারল্য ঝুকি: বিনিয়োগকারীর অর্থ শেয়ার বন্ড ডিবেঞ্চার ইত্যাদিতে বিনিয়োগের পর যেকোনো সময় এসব বিনিয়োগ নগদায়নের প্রয়োজন হয় ।আশা করা যায় বিনিয়োগকারী এসব বিনিয়োগ যুক্তিসঙ্গত মূল্যে বিক্রি করে নগদায়ন করতে পারবে। কিন্তু কোন কারণে যদি বিনিয়োগকারী সহজ এবং যুক্তিসঙ্গত মূল্যে বিক্রয় করতে না পারে তখন তারল্য যুগের সৃষ্টি হয় ।

একমালিকানা ও অংশীদারি কারবারের তারল্য ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ নগদ অর্থের প্রয়োজন হলে কারবারটি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ সহজে যুক্তিসংগত মূল্যে বিক্রয় করা যায় না।

দুটি বিনিয়ােগ ক্ষেত্র যথাক্রমে ‘অরণ্য’ ও ‘অনন্য। অরণ্য’ হতে বিগত ৪ বছরের অর্জিত আয়ের হার যথাক্রমে ২০%, ২৫%, ১০% ও ৫% এবং ‘অনন্য’ হতে বিগত ৪ বছরের আয়ের হার যথাক্রমে ১০%, ১৫%, ১৮% ও ১৭%;

ঘ. উপরোক্ত তথ্যের আলােকে আদর্শ বিচ্যুতির মান নির্ণয় করে অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়ােগ ক্ষেত্র নির্বাচনে আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ;

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সফলভাবে পরিচালনার জন্য ঝুঁকি পরিমাপ করা অত্যাবশ্যকীয়। প্রত্যাশিত আয় থেকে প্রকৃত আয় বিচ্যুতি থেকেই যুগের সৃষ্টি হয়।থেকে প্রকৃত আয় বৃদ্ধিতে যত বেশি হয় ঝুঁকি তত বাড়ে আর বিচ্যুতি যত কমে ঝুঁকি তত কমে। এ কারণে প্রত্যাশিত আয় এবং প্রকৃত আকৃতি বা প্রত্যাশিত ফলাফল এবং প্রকৃত ফলাফলের ভিত্তিতে থেকে ঝুঁকির পরিমাপ করা হয়। ঝুকি পরিমাপের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। প্রয়োজন বা অবস্থা ভেদে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এই পর্যায়ে আমরা ঝুঁকি পরিমাপের জন্য আদর্শ বিচ্যুতি ব্যবহার করবো।

আদর্শ বিচ্যুতি :আদর্শ বিচ্যুতি ব্যবহার করে অতীতে অর্জিত আয় এর বিচ্যুতি থেকে যেমন ঝুঁকির পরিমাপ করা হয়, তেমনি ভবিষ্যতের প্রত্যাশিত ঝুঁকিও পরিমাপ করা হয় । এটি একটি পরিসংখ্যানিক পদ্ধত। নিচে আদর্শ বিচ্যুতি সূত্র দেয়া হলো-

https://i.imgur.com/zCzrQyQ.png

এখানে, ∑ (আয় হার – গড় হার)2 = অতীতে অর্জিত আয় হার থেকে গলায় হারের পার্থক্য বর্গের সমষ্টি n=বছরের সংখ্যা;

’অরন্য’ এর আদর্শ বিচ্যুতি নির্ণয়:

https://i.imgur.com/XVl8Rt2.pnghttps://i.imgur.com/sanMLvl.png

’অনন্য’ এর আদর্শ বিচ্যুতি নির্ণয়:

https://i.imgur.com/Z5NsrhL.png

ঙ. আদর্শ বিচ্যুতির মানের প্রভাব বিশ্লেষণ;

দুটি বিনিয়োগ ক্ষেত্রের নির্ণীত আদর্শ বিচ্যুতি নির্মাণের প্রভাব বিশ্লেষণ পূর্বক কোন বিনিয়োগ ক্ষেত্র নির্বাচন করা হলো :

প্রথমে ৪ বছরে রায় যোগ করে ৪ দিয়ে ভাগ করলে আমরা গত চার বছরের গড় আয় পাবো। টেবিলে এটা দেখা যাচ্ছে ১৫%। এবার ঝুঁকি গণনার জন্য আদর্শ বিচ্যুতি গণনা করতে হবে। প্রথমে আমরা প্রতিবছরের আয় থেকে গড় আয় ১৫% এর ব্যবধান বের করব। এর কলামে এটাকে বর্গ করতে হবে।

এবার উক্ত বর্গ সমূহের যোগফল বের হলো ২৫০।একে (n-১)/(৪-১) বা ৪দিয়ে ভাগ করতে হবে।যত বছরের আয় তা থেকে সর্বদাই এক কম দিয়ে ভাগ করতে হবে। ভাগফলকে বর্গমূল করলে আমরা আদর্শ বিচ্যুতি পাব।

উল্লেখিত উদাহরণের আলোকে অরণ্য এর আদর্শ বিচ্যুতি পরিমাপ =৯.১%

এবং অনন্য এর আদর্শ বিচ্যুতি এর পরিমাপ=৩.৫%।

এখানে অন্যান্য এর আদর্শ বিচ্যুতি অরন্যর থেকে কম। তাই দুটি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে অনন্য বিনিয়োগ ক্ষেত্রটি বেশি গ্রহনযোগ্য। কারণ এই একই আয় কম ঝুঁকি বেশি গ্রহণযোগ্য। আবার অন্যটির অন্য একটি বিকল্প প্রকল্পে যদি সমান ঝুকি হয় কিন্তু লাভের গড় কম হয় তবে সেটা থেকেও আমাদের অনন্যের বিনিয়োগ ক্ষেত্র বেশি গ্রহণযোগ্য।

অর্থাৎ বলা যায় সাধারণ আদর্শ বিচ্যুতি নির্মাণ বড় অধিক ঝুঁকি এবং বিশ্ব বিচিত্র ছোট মান কম ঝুকি নির্দেশ করে। সমান আয় কম ঝুঁকি বেশি গ্রহণযোগ্য এবং সমান ঝুঁকিতে অধিক লাভ বেশি গ্রহণযোগ্য।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.