বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো বিটকয়েন। আপনি হয়তো বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে অথবা সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে বিটকয়েনের নাম শুনে থাকবেন। এছাড়া এমন কোনো মানুষ বর্তমান অনলাইন জগতে পাওয়া যাবে না যে, বিটকয়েন নামটি শুনে নাই। আপনিও হয়তো বিট কয়েন নামটি শুনেছেন।

কিন্তু জানেন না যে বিটকয়েন কি অথবা বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে! আপনি যদি বিটকয়েন সম্পর্কে কিছু না জেনে থাকেন অথবা বিটকয়েন সম্পর্কে যদি অল্প অল্প কিছু জেনে থাকেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি বিটকয়েন সম্পর্কিত সব তথ্য জানতে পারবেন।

আশা করি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। যাতে করে আপনি বিটকয়েন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক বিটকয়েন সম্পর্কে জানা অজানা সকল তথ্য সমূহ।

বিটকয়েন কি?

একটি অনলাইন জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন। ইন্টারনেট অথবা অনলাইনের মাধ্যমে peer-to-peer ট্রানজেকশন এর মাধ্যমে দেশের মুদ্রা লেনদেন করা অনলাইন ক্রিপ্টোকারেন্সি হলো বিটকয়েন। ধারণা করা হয় যে, ২০০৮ সালে জাপানের এক প্রোগ্রামার সাতোশি নাকামোতো এই বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি তৈরি করে।

বিটকয়েন এর দাম?

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দামি ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন। আর এই বিটকয়েন এর দাম সব সময় কমবেশি করে উঠা-নামা করে থাকে। বর্তমান সময় অনুযায়ী এক বিটকয়েন এর দাম প্রায় 50 লাখ টাকার ও বেশি। মাঝে মাঝে আরও কম এবং বেশি হতে পারে। বিটকয়েনের দাম এত হওয়ার মূল কারণ হলো বিটকয়েন একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা পরিমাণেই সারাবিশ্বে রয়েছে।

ধারণা করা হয় যে সারা বিশ্বে মাত্র 21 মিলিয়ন বিটকয়েন রয়েছে। এই 21 মিলিয়নের কম নেই আবার বেশি ও কখনও বাড়ানো যাবে না। এমন ভাবেই বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি টি তৈরি করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে মজার একটি বিষয় হলো বিটকয়েন এর কারণে বিভিন্ন third-party ব্যাংক মাধ্যম গুলো খুবই এই বিটকয়েন এর বিপক্ষে রয়েছে।

বিটকয়েন কাজ করে কিভাবে?

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে এটা জানার আগে অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে যে, বিটকয়েন কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। অন্যান্য ব্যাংক প্রতিষ্ঠান গুলো যেমন বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হলেও বিটকয়েন কারো দ্বারাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। এমনকি কোন দেশ পর্যন্ত বিটকয়েন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

বিটকয়েন মাইনিং করার মাধ্যমেই বিটকয়েনের মালিক হওয়া যায়। যে কম্পিউটারের সাহায্যে বিটকয়েন মাইনিং করা হয় সেই কম্পিউটারের মালিক কে বলা হয় বিটকয়েন মাইনার। যিনি কম্পিউটার ব্যবহার করে বিটকয়েন মাইনিং করে থাকে। আগে বিটকয়েন মাইনিং করা খুব সহজ হলেও বর্তমানে অনেকটাই হার্ড হয়ে গেছে।

আপনি চাইলে পৃথিবীর সব বিটকয়েন কখনো কিনতে পারবেন না। বিটকয়েন মাইনিং করতে হলে আপনাকে কিছু গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হলে আপনাকে প্রচুর কমপিউটিং পাওয়ার এর প্রয়োজন হবে এর পরে আপনি বিটকয়েন মাইনিং করে বিটকয়েন পুরস্কার হিসেবে অর্জন করতে পারবেন।

বিটকয়েন লেনদেন অবৈধ নাকি বৈধ?

বিটকয়েনের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে লেনদেন করতে পারবেন। বর্তমানে সবচেয়ে সিকিউরিটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবস্থা হল বিটকয়েন। যদি আপনি কখনো বিটকয়েন ক্রয় করতে চান অথবা বিক্রি করতে চান তাহলে আমাদের দেশে কিন্তু এটা অবৈধ। যদিও অন্য দেশ গুলোতে এটা এখনো বৈধ অবৈধ কিনা এটা জানা যায়নি।

কিন্তু আমাদের দেশে বিটকয়েন লেনদেন করা অবৈধ। তাই সবসময় বিটকয়েন আমাদের দেশ থেকে লেনদেন করা থেকে বিরত থাকুন। আর হ্যাঁ একটা কথা সবসময় মনে রাখবেন। আপনি যদি আমাদের দেশের আইন অমান্য করে বিটকয়েন লেনদলন করেন তাহলে আপনার জেল জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা বিক্রেতার কাছ থেকে সাবধান থাকুন। যারা বিটকয়েন ক্রয় বিক্রয় করে থাকে। তারা আপনাকে ভুল ভাল বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আপনার সাথে প্রতারণা করতে পারে। আর এই জন্য সবসময় আমরা বলে থাকি যে বিটকয়েন ক্রয় বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকাই সবচেয়ে ভালো।

যদি কখনো আমাদের দেশে বিটকয়েন বৈধ হয় তাহলে তখন আশা করি আপনারা বিটকয়েন ব্যবহার করে বিভিন্ন লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন। আশাকরি বিটকয়েন সম্পর্কিত সকল তথ্য আপনার আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন।

এর পরও যদি কোন কিছু জানতে না পারেন বিটকয়েন সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যাতে করে আমরা আপনার সমস্যাটির সমাধান করে দিতে পারি। আর আপনি যেন বিটকয়েন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ভালো ভাবে জানতে ও বুঝতে পারেন।

জানতে ও জানাতে চাই।