রমিজ বাজার থেকে প্রতি কেজি পেয়ারা ৮০ টাকা, ৭০টাকা ও ৬০ টাকা হলে যথাক্রমে ১৫ কেজি, ২০ কেজি ও ২৫ কেজি পেয়ারা ক্রয় করতে আগ্রহী।অন্যদিকে পেয়ারা বিক্রেতা উক্ত দামে বাজারে পেয়ারা সরবরাহ করতে চায় যথাক্রমে ২৫ কেজি, ২০ কেজি ও ১৫ কেজি। উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে পেয়ারার বাজারের ভারসাম্য বিশ্লেষণ কর।

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ চাহিদার ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে। চাহিদা বিধিকে সূচি এবং রেখাচিত্রে রূপ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারবে। যােগানের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে। যােগানবিধিকে সূচি ও রেখাচিত্রে রূপ দিতে পারবে। সূচি, রেখাচিত্র এবং গাণিতিকভাবে ভারসাম্য দাম ও পরিমাপ নির্ধারণ করতে পারবে।

নির্দেশনা (সংকেত ধাপ পরিধি):

চাহিদা ও যােগানের ধারণা,

চাহিদা ও যােগানের সূচি, চাহিদা ও যােগানের চিত্রাঙ্কন,

ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ,

তথ্যের ভিত্তিতে পেয়ারার বাজারের ভারসাম্য বিশ্লেষণ (উদ্দীপকের তথ্যসমূহ হতে রেখাচিত্র অঙ্কন করা প্রয়ােজন)

HSC  ৪র্থ সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট অর্থনীতি ১ম পত্র উত্তর

উত্তর সমূহ:

চাহিদা ও যােগানের ধারণা,

চাহিদার ধারণা (Concept of Demand) সাধারন অর্থে, কোন কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা বা ইচ্ছাকে চাহিদা বলে। কিন্তুু অর্থনীতিতে চাহিদা বলতে ভোক্তার কোন দ্রব্য বা সেবা পাওয়ার আকাঙ্খার সাথে সাথে তা ক্রয়ের অর্থ, সামর্থ্য এবং ব্যয় করার ইচ্ছা থাকলে তবেই ঐ আকাঙ্খাকে চাহিদা বলে। ধরা যাক, রহিম আর্থিকভাবে অসচ্ছল। সে একটি মোটর গাড়ী কেনার জন্য আকাঙ্খা প্রকাশ করল কিন্তুু তা ক্রয় করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তার নেই। কাজেই, এক্ষেত্রে রহিমের মোটর গাড়ির জন্য আকাঙ্খাকে চাহিদা বলা যাবে না। আবার একজন ধনী অথচ কৃপণ লোকের গাড়ী কেনার ইচ্ছাকে চাহিদা বলা যাবে না। কেননা তার ক্রয়ক্ষমতা থাকলেও অর্থ ব্যয় করার ইচ্ছা নেই। সুতরাং

অর্থনীতিতে চাহিদা হতে হলে নিম্নোক্ত তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণীয়। শর্ত তিনটি হলো :

(১) কোন দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা;

(২) দ্রব্যটি ক্রয় করার প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য; এবং

(৩) প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করে দ্রব্যটি ক্রয় করার ইচ্ছা।

সুতরাং আমরা বলতে পারি, কোন ক্রেতা বা ভোক্তার একটি নির্দিষ্ট দ্রব্য পাওয়ার আকাঙ্খা, আর্থিক সামর্থ্য বা ক্রয়ক্ষমতা এবং নির্দিষ্ট দামে ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তবে তাকেই অর্থনীতিতে চাহিদা (Demand) বলে।

যােগানের ধারণা (Concept of Supply) সাধারণ অর্থে যােগান বলতে কোন দ্রব্যের সরবরাহকে নির্দেশ করে। কিন্তু অর্থনীতিতে যােগান বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পণ্যে বিক্রেতাগণ কোন দ্রব্যের যে পরিমাণ বাজারে বিক্রয় করতে রাজি থাকে তাকে যােগান বলে। কোন দ্রব্যের যােগান সাধারণত: উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। দ্রব্যের যােগান দাম ও সময় দ্বারা প্রভাবিত হয়।

তাই চাহিদার ন্যায় যােগানের ক্ষেত্রেও অন্যান্য বিষয়কে স্থির বিবেচনা করে যােগানকে শুধুমাত্র দামের সাথে একটি ক্রিয়া বা অপেক্ষক বিবেচনা করা হয়। সুতরাং, কোন বিক্রেতা বা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান কোন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে তাদের উৎপাদিত পণ্যের যে পরিমাণ বিক্রয় করতে প্রস্তুত থাকে তাকে অর্থনীতিতে যােগান (Supply) বলে।

যােগানের নির্ধারকসমূহ (Determinants of Supply) আমরা জানি, কোন দ্রব্যের যােগান কতকগুলি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল।

যে সব বিষয়ের উপর কোন দ্রব্যের যােগান নির্ভরশীল ঐসব বিষয়কে যােগানের নির্ধারক বলে। যােগানের নির্ধারকগুলাে যােগানের অপেক্ষকের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়।

চাহিদা ও যােগানের সূচি, চাহিদা ও যােগানের চিত্রাঙ্কন,

চাহিদা সূচি অন্যান্য অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা অবস্থায় কোন দ্রব্যের দাম ও চাহিদার পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ককে যে সারণির মাধ্যমে দেখানো হয় তা হচ্ছে চাহিদা সূচি।

যোগান সূচি চাহিদা সূচির মত যোগান সূচিকে একটি ছকের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় যা দ্রব্যের দাম ও যোগানের পরিমাণের মধ্যে সম্পর্ক দেখায়।

সারণি-১ এ পেয়ারার চাহিদা সূচি দেখানাে হয়েছে। প্রতিটি দামে ভােক্তা যে পরিমাণ পেয়ারা ক্রয় করে তা নির্ধারণ করতে পারি।

 সারণিতে, প্রতি কেজি ৪০ টাকা দমে ভােক্তা প্রতি মাসে ১৫ কেজি পেয়ারা ক্রয় করে, ৭০ টাকা দামে। ২০ কেজি (পয়ারা ক্রয় করে এবং ৬০ টাকা দামে ২৫ কেজি (পয়ারা ক্রয় করে। এভাবে সারণি থেকে দেখা যায়, প্রতি

কেজি পেয়ারার দাম যত কমছে পেয়ারার চাহিদার পরিমাণ | তত বাড়ছে। চাহিদা সূচি অনুযায়ী আমরা দেখতে পাচ্ছি।

 যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে চাহিদার অন্যান্য নির্ণারণসই স্থির থাকা অবস্থায় দ্রব্যের দামের উপর দ্রব্যটির প্রকৃত যেন পরিমাণ নির্ভর করে।

রিখাচিত্রের মাধ্যমে চাহিদা সূচির প্রকাশই হচ্ছে চাহিদা বেখা। [চিত্র ১ এ QY বা লম্ব অঙ্কে । পেয়ারার দাম ও OX বা ভূমি।

অক্ষে পেয়ারার চাহিদার পরিমাণ দেখানাে হয়েছে। DD হচ্ছে | ভােক্তার পেয়ারার চাহিদা বেখা। এই রেখার a, b, c, বিন্দুগুলােতে বিভিন্ন দামে চাহিদার বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশ পায়। যেমন, a Tণন্দু দ্বারা বােঝা যায়, ৪০ টাকা দামে ভোক্তার ।

প্যারার চাহিদার পরিমাণ ১৫ কেজি। আবার c বিন্দুতে ৬০ টাকা দামে পেয়ারার চাহিদা পরিমাণ ২৫ কেতি। অর্থাৎ দাম ও চাহিদার | মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। দাম কমার সাথে সাথে চাহিদার

পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং চাহিদা রেখাটি বাম থেকে ডান। | দিকে নিম্নগামী হয়ে থাকে।

সারনি ২ এ দেখা যাচ্ছে যে, পেয়ারার দাম বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে পেয়ারার যােগানের পরিমাণও। | বৃদ্ধি পাচ্ছে, যখন অন্যান্য বিষয় (যা বিক্রেতার বিক্রির পরিমাণকে প্রভাবিত করতে। পারে) অপরিবর্তিত থাকে।

রেখাচিত্রের মাধ্যমে যােগান সূচির প্রকাশই হচ্ছে যােগান রেখা।

 চিত্র ২এ OY বা লম্ব অস্কে পেয়ার দাম ও ox বা ভুমি অস্কে পেয়ারার যােগান পরিমাণ দেখানাে হয়েছে।

Ss হচ্ছে বিক্রেতার পেয়ারার যােগান রেখা। এই রেখার a, b, c, বিলগুলােভে। বিভিন্ন দামে যােগানের বিভিন্ন পরিমাণ প্রকাশ পায়। যেমন, c | বি দ্বারা বােঝা যায়, ‘৮০ টাকা দামে বিক্রেতার পেয়ারার যোগানের গরিমাণ ২৫ কেজি। আবার a বিন্দুতে ৬০ টাকা। | দামে (পয়ারার যােগানের পরিমাণ ১৫ কেজি। অর্থাৎ নাম ও যোগানের মধ্যে সমস- বিদ্যমান। দাম বাড়ার সাথে সাথে যােগানের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং যােগান রেখাটি বাম।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.