বর্তমানে কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি জিমেইল ব্যবহার করে থাকি। জিমেইল এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট ওপেন করে ব্যবহার করি। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের পার্সোনাল কাজ ও আমরা জিমেইল এর মাধ্যমে করে থাকি। জিমেইল এর সাহায্যে আমরা যেসব কাজগুলো সবচেয়ে বেশি করে থাকি৷
সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো; ইউটিউবে একাউন্ট অপেন করা, মেইলে বার্তা আদান-প্রদান করা, ফটো ব্যবহার করা, গুগল ড্রাইভ ব্যবহার করা, গুগল মিট, গুগল ব্যবহার করা, গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করা, ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করা ইত্যাদি।
বিভিন্ন ধরনের সেবা ব্যবহার করে থাকি শুধু মাত্র জিমেইলের সাহায্যে। আপনি যদি গুগলের জিমেইল ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই জিমেইলের কিছু কীবোর্ড শর্টকাট রয়েছে যেগুলো আপনার জানা প্রয়োজন রয়েছে।
যদি আপনি এসব শর্টকাট গুলো আগে থেকে জেনে থাকেন তাহলে তো ভালোই। আর যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে হয়ত আপনার অনেক উপকারে আসবে গুগলের এই শর্টকাট টিপস গুলো।
গুগল এর শর্টকার্ট কিবোর্ড ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার অনেক মূল্যবান সময় সেভ করতে পারবেন। আশাকরি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এতে করে দেখা যাবে আপনি গুগলে কিছু শর্টকার্ট কীবোর্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আর যাতে করে জিমেইলের কিছু কীবোর্ড শর্টকাট গুরু জানার পরে আপনি যেন পরবর্তী সময় আপনার প্রচুর সময় এতে করে সেভ করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক গুগল জিমেইলের কিছু কীবোর্ড শর্টকাট সম্পর্কে।
জিমেইল কিবোর্ড শর্টকাট চালু করার নিয়ম
প্রথমেই বলতে চাই যে গুগলের জিমেইল কীবোর্ড শর্টকাট আপনাকে চালু করতে হবে। চালু না করলে কিন্তু আপনি কখনই জিমেইল কীবোর্ড শর্টকাট গুলো পরবর্তী সময় ব্যবহার করতে পারবেন না। সেই সাথে আপনি আপনার মূল্যবান সময় সেভ করে ও কাজ করতে পারবেন না। তো চলুন জেনে নিই যে, কিভাবে গুগল কীবোর্ড শর্টকাট চালু করতে হবে?
গুগলের জিমেইল কীবোর্ড শর্টকাট চালু করার জন্য প্রথমেই আপনাকে আপনার কম্পিউটারে জিমেইল ব্রাউজারে অপেন করে লগইন করতে হবে। লগইন করার পর একেবারে উপরের দেখবেন টপ আইকন সেটাতে সিলেক্ট করবেন। সিলেক্ট করার পর সাইডবারে গিয়ে দেখবেন সি অল সেটিংস (See all settings) নামক একটি অপশন। উক্ত অপশনটিতে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর আপনাকে চলে যেতে হবে জেনারেল General ট্যাবে। জেনারেল ট্যাবে চলে যাওয়ার পর এবার আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে কীবোর্ড শর্টকাট (Keyboard Shortcuts) নামক একটি অপশন। কিবোর্ড শর্টকার্ট অপশনটিতে ঢোকে শর্টকাট অপশনটি চালু করে দিতে হবে। চালু করে দেওয়ার পর একেবারে নিচে দেখতে পাবেন সেভ চেঞ্জ (Save Changes) নামক একটি অপশন সেটাতে ক্লিক করতে হবে।
সেখানে আপনি শর্টকাট অপশনটি চালু করলেই দেখতে পাবেন কোশ্চেন মার্ক (?) করা একটি শর্টকাট।
উক্ত শর্টকাটগুলো চালু করার জন্য আপনার কিবোর্ড থেকে Shift দিয়ে + এরপরে Slash (/) প্রেস করতে হবে। এভাবে খুব সহজেই আপনি জিমেইল কীবোর্ড শর্টকাট টি চালু করে নিতে পারবেন।
জিমেইল নেভিগেশন অপশন
আপনার জিমেইলে কিন্তু কীবোর্ড শর্টকাট এর সবগুলো অপশন চালু করা হয়েছে। এখন আপনি যদি কখনো জিমেইলে কাউকে মেইল পাঠাতে চান অথবা ইমেইল লিখতে চান। তাহলে এই সব শর্টকাট গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজ খুব শর্টকাটে করে ফেলতে পারবেন। তো চলুন এবার একটু জেনে নেই যে কি কি শর্টকাট কিভাবে ব্যবহার করতে হবে।
তবে তার আগে বলে নেই যে, যদি আপনি জিমেইল এ গিয়ে এইসব শর্টকাট কী (Key) গুলো ব্যবহার করতে চান। তাহলে এই জন্য প্রথমে আপনাকে জি(G) টাইপ করতে হবে। জি (G) টাইপ করার পর যে কোন একটি শর্টকাট কী (A,BCD,E,FG) টাইপ করবেন। মানে প্রথমে জি (G) টাইপ করে রেখেই আপনাকে দ্বিতীয়ত যেকোনো একটি শর্টকাট কী (Key) চালু করতে হবে।
তাহলে আপনার জিমেইলে এই শর্টকার্ট কী (Key) গুলো কাজ করবে। জি (G) টাইপ করে যা যা টাইপ করে জিমেইল এর বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করবেন তা হলো; বি ( B) মানে স্নুজড মেসেজ, সি (C) মানে কনটাক্টস, ডি (D) মানে ড্রাফট, আই (I) মানে ইনবক্স, কে (K) মানে টাস্কস, এন (N) মানে নেক্সট পেজ, পি (P) মানে প্রিভিয়াস পেজ, এস (S) মানে স্টারেড কনভার্সেশন, টি (T) মানে সেন্ট ইমেইল।
আশাকরি জিমেইলের কিছু কীবোর্ড শর্টকাট সম্পর্কে আপনি এখন পুরোপুরি জানতে পেরেছেন। আপনি এই শর্টকার্ট কীবোর্ড গুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার অনেক মূল্যবান সময় বাঁচাতে পারবেন। এরপর যদি কোন কিছু বুঝতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনার সমস্যাটি সমাধান করে দিবো। যাতে করে আপনি জিমেইলের কিছু শর্টকার্ট কীবোর্ড সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন ও তা ব্যবহার করতে পারেন।