সুপ্রিয় ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীবৃন্দ। তোমরা যারা নৈর্বাচনিক বিষয় হিসেবে পৌরনীতি ও নাগরিকতা নির্বাচন করেছে তাদের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার ২য় সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট এ দেওয়া পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে এ্যাসাইনমেন্ট এর পরিবর্তন করে নতুন এ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থা ও একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি বিশ্লেষণ করতে দিয়েছেন। তোমাদের জন্য আজকে পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ে সংশোধিত এ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থা ও একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি বিশ্লেষণ নিয়ে হাজির হলাম। এখানে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থা ও একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি বিশ্লেষণ করবো এবং পরিবার ও পরিবারের ধরণ, যৌথ পরিবার হ্রাস ও একক পরিবার সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণ এবং আদর্শ পরিবারের কার্যাবলী বিশ্লেষণ করবো।
এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ দ্বিতীয় সপ্তাহ পৌরনীতি ও নাগরিকতা এ্যাসাইনমেন্ট
পৌরনীতি ও নাগরিকতা পাঠ্য বই থেকে ২০২৫ সালের মানবিক বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সংশোধিত এ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হয়েছে প্রথম অধ্যায়: পৌরনীতি ও নাগরিকতা থেকে।
নিচের ছবিতে এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ তৃতীয় সপ্তাহ পৌরনীতি ও নাগরিকতা এ্যাসাইনমেন্ট বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো
অ্যাসাইনমেন্টঃ বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থা ও একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি বিশ্লেষণ
শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকারের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারব। পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও সরকারের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পারব।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি):
ক. পাঠ্যপুস্তক/শিক্ষক (মােবাইলে/অনলাইনে) যােগাযােগ করে নেয়া যেতে পারে।
খ. প্রয়ােজনে ইন্টারনেট থেকেও সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
গ. পরিবার কিভাবে গড়ে উঠে তা বর্ণনা করতে হবে।
ঘ. পরিবারে শ্রেণিবিভাগ বর্ণনা করতে হবে।
ঙ. যৌথ পরিবার হ্রাস ও একক পরিবার বৃদ্ধির কারণ বিশ্লেষণ করতে হবে।
ঘ. একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি বিশ্লেষণ করতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ দ্বিতীয় সপ্তাহ পৌরনীতি ও নাগরিকতা এ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের প্রদত্ত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক সংশোধিত পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাই করা একটি নমুনা উত্তর শিক্ষার্থীদের সুবিধায় দেয়া হলো। এখানে, এখানে আমরা বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থা ও একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলি বিশ্লেষণ করবো এবং পরিবার ও পরিবারের ধরণ, যৌথ পরিবার হ্রাস ও একক পরিবার সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণ এবং আদর্শ পরিবারের কার্যাবলী বিশ্লেষণ করে দেওয়া হল।
নিম্মোক্ত উত্তরটি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা বিষয়ের প্রথম সংশোধিত অ্যাসাইনমেন্ট ভালো ভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ নম্বর পাবে।
অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন রুবিক্স নির্দেশনা সমূহ যথাযথ অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যমান পরিবার ব্যবস্থা ও একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলী বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রশ্নসমূহের উত্তর ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হলো।
ক. পরিবার ও পরিবারের ধরণ;
পরিবার: যেখানে দাদা-দাদী, বাবা-মা, ভাই-বোন নিয়ে একসাথে শান্তিতে বসবাস করা হয়। সমাজ স্বীকৃত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বামী-স্ত্রীর একত্রে বসবাস করাকে পরিবার বলে। অর্থাৎ বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এক বা একাধিক পুরুষ ও মহিলা, তাদের সন্তানাদি, পিতামাতা এবং অন্যান্য পরিজন নিয়ে যে সংগঠন গড়ে উঠে- তাকে পরিবার বলে।
ম্যাকাইভারের মতে, সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনের জন্য সংগঠিত ক্ষুদ্র বর্গকে পরিবার বলে । আমাদের দেশে সাধারণত মা-বাবা, ভাই-বােন, চাচা-চাচি ও দাদা-দাদির সমন্বয়ে পরিবার গড়ে উঠে।
তবে শুধু একজন মহিলা বা একজন পুরুষকে পরিবার বলা হয়। মূলত পরিবার হলাে স্নেহ, মায়া, মমতা, ভালােবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গঠিত ক্ষুদ্র সামাজিক প্রতিষ্ঠান।
পরিবারের শ্রেণিবিভাগ: আমরা সবাই পরিবারে বাস করি। কিন্তু সব পরিবারের প্রকৃতি ও গঠনকাঠামাে এক রকম নয়। কতগুলাে নীতির ভিত্তিতে পরিবারের শ্রেণিবিভাগ করা যায়।
যেমন- (ক) বংশ গণনা ও নেতৃত্ব (খ) পারিবারিক কাঠামাে ও (গ) বৈবাহিক সূত্র।
ক. বংশ গণনা ও নেতৃত্ব: এ নীতির ভিত্তিতে পরিবারকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক পরিবার । পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে সন্তানরা পিতার বংশপরিচয়ে পরিচিত হয় এবং পিতা পরিবারে নেতৃত্ব দেন। আমাদের দেশের অধিকাংশ পরিবার এ ধরনের।
অন্যদিকে, মাতৃতান্ত্রিক পরিবারে মায়ের বংশপরিচয়ে সন্তানরা পরিচিত হয় এবং মা পরিবারে নেতৃত্ব দেন । যেমন- আমাদের দেশে গারােদের মধ্যে এ ধরনের পরিবার দেখা যায়।
খ. পারিবারিক কাঠামাে: পারিবারিক গঠন ও কাঠামাের ভিত্তিতে পরিবারকে দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যথা- একক ও যৌথ পরিবার। একক পরিবার মা-বাবা ও ভাই-বােন নিয়ে গঠিত হয়।
এ ধরনের পরিবার ছােট হয়ে থাকে। যৌথ পরিবারে মা-বাবা, ভাই-বােন, দাদা-দাদি, চাচা-চাচি ও অন্যান্য পরিজন একত্রে বাস করে। যৌথ পরিবার বড় পরিবার। বাংলাদেশে উভয় ধরনের পরিবার রয়েছে।
তবে বর্তমানে একক পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। মূলত যৌথ পরিবার কয়েকটি একক পরিবারের সমষ্টি।
গ. বৈবাহিক সূত্র: বৈবাহিক সূত্রের ভিত্তিতে তিন ধরনের পরিবার লক্ষ করা যায়। যথা- একপত্নীক, বহুপত্নীক ও বহুপতি পরিবার। একপত্নীক পরিবারে একজন স্বামীর একজন স্ত্রী থাকে।
আর বহুপত্নীক পরিবারে একজন স্বামীর একাধিক স্ত্রী থাকে। আমাদের সমাজের অধিকাংশ পরিবার একপত্নীক, তবে বহুপত্নীক পরিবারও কদাচিৎ দেখা যায়। বহুপতি পরিবারে একজন স্ত্রীর একাধিক স্বামী থাকে। বাংলাদেশে এ ধরনের পরিবার দেখা যায় না।
খ. যৌথ পরিবার হ্রাস ও একক পরিবার সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণ
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন কারণে যৌথ পরিবার গুলো হ্রাস পাচ্ছে এবং একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্মে বাংলাদেশের যৌথ পরিবার হ্রাস ও একক পরিবার সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণ গুলো আলোচনা করা হলো-
১) সীমিত অর্থনৈতিক যােগানদাতাঃ একটি যৌথ পরিবার অনেকগুলাে মানুষের সমন্বয় নিয়ে থাকে যার লােক সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন অথবা তার উর্ধ্বে থাকলেও অনেক যৌথ পরিবারে অর্থনৈতিক যােগানদাতা মাত্র ২ থেকে ৪ জন থাকেন আবার তাদের আয়ের পরিমাণও সমান।
এ অবস্থায় যৌথ পরিবারে থেকে পরিবার চালনা অত্যান্ত কষ্টসাধ্য হয় এমনকি তারা নিজের এবং নিজের স্ত্রী সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই যৌথ পরিবার ভেঙ্গে মা,বাবা দাদা-দাদী অন্যান্য সদস্যদের ছেড়ে একক পরিবার গঠনের চিন্তা করেন। যৌথ পরিবার হ্রাস ও একক পরিবার সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে এটি অন্যতম একটি নিয়ামক।
২) ব্যক্তি স্বার্থপরতাঃ যৌথ পরিবারের অর্থনৈতিক যােগানদাতা ব্যক্তিগণ অনেক সময় সবার সাথে মিলেমিশে যৌথ সম্পত্তি গড়ে তােলার পাশাপাশি যৌথ পরিবারের সদস্যদের অজান্তে নিজের নিজের স্ত্রী অথবা সন্তানের নামে আলাদা সম্পত্তি গড়ে তুলেন।
পরবর্তীতে তা পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণের মধ্যে জানাজানি হলে ঝগড়ার হয় আর যৌথ পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।
৩) কর্মজীবীদের সংখ্যা বৃদ্ধিঃ যৌথ পরিবার হ্রাস ও একক পরিবার সংখ্যায় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরিবারের কর্মজীবী সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মজীবী সদস্যগণ চাকুরীর সুবাদে দীর্ঘদিন তাদের যৌথ পরিবারের বাহিরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকতে হওয়া একটি অন্যতম বিষয়।
ফলশ্রুতিতে এক সময় তাদের মধ্যে যৌথ পরিবারে থাকার আগ্রহ কমে যায় বা তাদের সন্তানাদি মা বাবার সাথে একক পরিবারে থাকতে অভ্যস্ত থাকায় তারা আর যৌথ পরিবারে ফিরে আসতে চায় না।
এমনকি তাদের মধ্যে একটি স্বাধীনচেতা মনােভাব সৃষ্টি হয় তখন তারা তাদের পরিবারের কর্তাব্যক্তির বিভিন্ন সিন্ধান্ত মানতেও নারাজ। ফলে যৌথ পরিবার ভেঙ্গে যেতে থাকে।
৪) ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তারঃ বর্তমান সমাজে যৌথ পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলাে ব্যক্তিগত আধিপত্য বিস্তার। পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তি চান পরিবারের সকল সদস্যকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। এতে পরিবারের অন্যদের মধ্যে পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার গঠনের প্রবণতা দেখা যায়।
গ. আদর্শ পরিবারের কার্যাবলী
একজন মানুষের সামাজিকীকরণে এবং সমাজের সার্বিক উন্নয়নে একটি আদর্শ পরিবারের ভূমিকা অনস্বীকার্য। পরিবারের সদস্যদের সুন্দর ও নিরাপদ জীবন গড়ে তােলার জন্য পরিবার বহুবিধ কাজ করে।একটি আদর্শ পরিবারের কার্যাবলী আলোচনা করা হলো।
১. জৈবিক কাজ: আমাদের মা-বাবা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ফলেই আমরা জন্মগ্রহণ করেছি এবং তাদের দ্বারা লালিত-পালিত হচ্ছি। অতএব, সন্তান জন্মদান ও লালন-পালন করা পরিবারের অন্যতম কাজ। পরিবারের এ ধরনের কাজকে জৈবিক কাজ বলা হয়।
২. শিক্ষামূলক কাজ: আমাদের মধ্যে অনেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পূর্বেই পরিবারে বর্ণমালার সাথে পরিচিত হই । তাছাড়া মা-বাবা, ভাই-বােন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পারস্পরিক সহায়তায় সততা, শিষ্টাচার, উদারতা, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি মানবিক গুণাবলির শিক্ষা লাভের প্রথম সুযোেগ পরিবারেই সৃষ্টি হয়।
এগুলাে পরিবারের শিক্ষামূলক কাজ। আর পরিবারে শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় বলে পরিবারকে শাশ্বত বিদ্যালয় বা জীবনের প্রথম পাঠশালা বলা হয়।
৩. অর্থনৈতিক কাজ: পরিবারের সদস্যদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি চাহিদা পূরণের দায়িত্ব পরিবারের। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে এসব চাহিদা মিটিয়ে থাকে। পরিবারকে কেন্দ্র করে কুটির শিল্প, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজ, পশু পালন ইত্যাদি অর্থনৈতিক কাজ সম্পাদিত হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট কাজের জায়গাগুলাে অনেক ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হয়েছে এবং নতুন নতুন কাজের সুযােগ সৃষ্টি হয়েছে। কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে হ্রাস পেয়েছে। তবে আজও পরিবার আমাদের সকল প্রকার অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণ করছে।
৪. রাজনৈতিক কাজ: পরিবারে সাধারণত মা-বাবা কিংবা বড় ভাই-বােন অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে। আমরা ছােটরা তাদের আদেশ-নির্দেশ মান্য করে চলি। তারাও আমাদের অধিকার রক্ষায় কাজ করেন । বুদ্ধি, বিবেক ও আত্মসংযমের শিক্ষা দেন, যা আমাদের সুনাগরিক হতে সাহায্য করে।
এভাবে পারিবারিক শিক্ষা ও নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে পরিবারেই শিশুর রাজনৈতিক শিক্ষা শুরু হয়। এ শিক্ষা পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় জীবনে কাজে লাগে। এছাড়া বড়দের রাজনৈতিক আলােচনা শুনে ও সে আলােচনায় অংশগ্রহণ করে আমরা দেশের রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠি।
৫. মনস্তাত্ত্বিক কাজ: পরিবার মায়ামমতা, স্নেহ-ভালােবাসা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের মানসিক চাহিদা পূরণ করে। নিজের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে ভাগাভাগি করে প্রশান্তি লাভ করা যায়।
যেমন- কোনাে বিষয়ে মন খারাপ হলে মা-বাবা, ভাই-বােনদের সাথে আলাপ-আলােচনা করে তার সমাধান করা যায়। এ ধরনের আলােচনা মানসিক শান্তি-ক্লান্তি মুছে দিতে সাহায্য করে।
তাছাড়া পরিবার থেকে শিশু উদারতা, সহনশীলতা, সহমর্মিতা প্রভৃতি গুণগুলাে শিক্ষা লাভ করে, যা তাদের মানসিক দিককে সমৃদ্ধ করে।
৬. বিনােদনমূলক কাজ: পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্প-গুজব, হাসি-ঠাট্টা, গান-বাজনা, টিভি দেখা, বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা বিনােদন লাভ করি।
বর্তমানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে পরিবারের উল্লিখিত কাজগুলাে কিছুটা হ্রাস পেলেও সদস্যদের সর্বাধিক কল্যাণ সাধনে পরিবারের এসব কাজের গুরুত্ব অপরিসীম।