Determining rationality

https://i.imgur.com/RMgDunr.jpeg

যৌক্তিকতা নিরুপণ:

নিচে উল্লিখিত অংশটি সাধুরীতিতে রচিত। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার যৌক্তিকতা তুলে ধর।

*সংবাদ পাইলাম, কারুণিওয়ালার সহিত মিনির এই যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তাহা নহে, ইতোমধ্যে সে প্রায় প্রত্যহ আসিয়া পেস্তা বাদাম ঘুষ দিয়া মিনির হুর হদয়টুকু অনেকটা অধিকার করিয়া লইয়াছে।”

নির্দেশনাঃ

শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিত বইয়ের সহায়তা নিয়ে সাধু রীতির -৪-৫টি বৈশিষ্ট্য লিখবে।
* উল্লিখিত পাঠ থেকে সর্বনাম , ক্রিয়াপদ। অব্যয় ও তৎসম শব্দের দৃষ্টান্ত চিহ্নিত করবে।
* যৌক্তিকতা সহ উপসংহার লিখবে।


সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য

১. সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের রূপ পূর্ণাঙ্গ । যেমন : করিয়াছি, গিয়াছি।

২. সাধু ভাষায় সর্বনাম পদের রূপ পূর্ণাঙ্গ। যেমন : তাহার, তাহারা, তাহাদের।

৩. সাধু ভাষায় অনুসর্গের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন : হইতে, দিয়া

৪. সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের (সংস্কৃত শব্দ) প্রয়ােগ বেশি। যেমন : হস্ত, মস্তক, ঘৃত, ধৌত।

৫. সাধু ভাষার উচ্চারণ গুরুগম্ভীর।

৬. সাধু ভাষা সুনির্ধারিত ব্যাকরণের অনুসারী। এর কাঠামাে সাধারণত অপরিবর্তনীয়।

উদ্দীপকের অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় রচিত । অনুচ্ছেদটিতে ব্যবহৃত সর্বনাম, ক্রিয়াপদ, অবয় ও তৎসম শব্দগুলাে নিম্নরূপ:

  • সর্বনাম শব্দঃ তাহা
  • ক্রিয়াঃ পাইলাম, আসিয়া, দিয়া, করিয়া, লইয়াছে।
  • অব্যয়ঃ সহিত, ইতােমধ্যে
  • তৎসম শব্দঃ সাক্ষাৎ,ক্ষুদ্র, হৃদয়

সাধু ভাষার যােক্তিকতা নিরূপণঃ : আমরা জানি সাধু ভাষায় সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়। অনুচ্ছেদটিতেও সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন: তাহা, আসিয়া, করিয়া ইত্যাদি।সাধু ভাষায় অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়।অনুচ্ছেদটিতে দিয়া অনুসর্গটি ব্যবহৃত হয়েছে।এছাড়াও অনুচ্ছেদ এ কিছু তৎসম শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে।যেগুলাে দেখে আমরা বুঝদে পারি অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় লেখা হয়েছে।সুতরাং যােক্তিতা নিরূপণ করা হলাে।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.