নতুন একটি সিম কেনার পর আমাদের কিছু কাজ করনীয় থাকে। যেগুলো করার মাধ্যমে আমরা নতুন সিম কিনে সেই সিমের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারি। যদি না আমরা এসব কাজ গুলো নতুন সিমে না করি তাহলে নতুন সিম কিনে আমাদের কোন লাভ হয় না।
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে নতুন সিম কেনার পর আপনার করনীয় কি সেসব বিষয়গুলো সম্পর্কে জানানো হবে। এই জন্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। যাতে করে নতুন সিম কেনার পর আপনার কি কি করতে হবে সেই সম্পর্কে ভালো ধারণা পান।
আর পরবর্তী সময়ে নতুন সিম কেনার পর এই কাজগুলো করার কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন এইসব ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারেন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক, নতুন সিম কেনার পর আপনার করণীয় কি কি?
পিন কোড
আমাদের মধ্যে অনেকেরই যে সমস্যা হয়ে যায় সেটাা হলে বিভিন্ন সময় কোন ভুলবশত কারণে সিমের পিন কোড টি আমরা ভুলে যাই। সেই সাথে পরবর্তী সময়ে পিন কোড না দেওয়ার কারণে সিমটি নষ্ট হয়ে যায়। আর এই কারণে যদি আপনি নতুন একটি সিম প্যাক কিনে থাকেন তা হলে সাথে সাথেই সহজ এবং সহজে মনে রাখার মত একটি পিন কোড দিয়ে রাখবেন।
এটা আপনার সিমের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে আর যদি কোন কারনে কোন সময় আপনার সিমটি লক হয়ে যায় তাহলে খুব সহজেই আবার আনলক করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে নতুন ভাবে কোন সিম উত্তোলন করা প্রয়োজন পড়বে না সেই সাথে আপনার কিছু টাকা ও খরচ হয়ে যাবে না। আর তাই নতুন সিম কেনার পর অবশ্যই পিন কোড দিতে ভুলবেন না।
নতুন সিম অফার চেক
আপনি যদি কখনো কোনো নতুন সিম কিনে থাকেন তাহলে নতুন সিম হওয়ার কারণে সিম অপারেটররা অনেক গুলো ফ্রি ও সস্তা অফার দিয়ে থাকে। আর এইজন্য যদি আপনি কি নতুন সিম কিনে অপরাধীর না চেক করেন তাহলে হয়তোবা পারবেন আপনি পাবেন না। কেননা নতুন সিম কিনলে অনেকগুলো ভালো ভালো অফার দেওয়া হয়। যেসব ব্যবহারগুলো আপনি কম টাকায় এবং বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারেন।
আর এই কারণে আপনি যদি নতুন একটি সিম কিনে থাকেন তাহলে সাথে সাথে চেক করবেন নতুন সিমে কি কি অফার রয়েছে। কেননা সিম অপারেটররা নতুন সিমে টকটাইম, ইন্টারনেট, এসএমএস, সহ বিভিন্ন ধরনের অফার নতুন সিমে দিয়ে থাকে। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের ফ্রি এবং সস্তা বিভিন্ন ধরনের অফার আপনি নতুন সিম কিনলে পেয়ে যেতে পারবেন।
সেই সাথে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অফার গুলো গ্রহন করে নিবেন। এতে করে আপনি নতুন সিমের অফার দেওয়া সেগুলো ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
নাম্বার শেয়ার
আপনি যদি নতুন সিম কিনে থাকেন তাহলে সেই সিমের নাম্বারটা কিন্তু সবার কাছে নেই। আর যে কারণে যদি কেউ আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চায়। তাহলে তার কাছে আপনার নাম্বারটি না থাকার কারণে সে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না। আর এই কারণে নতুন একটি সিম কেনার সাথে সাথেই আপনার উচিত হবে ওই নাম্বারটি আপনার প্রিয় জন এবং পরিচিত সবার সাথে শেয়ার করা।
এতে যদি কেউ আপনার সাথে কখনো যোগাযোগ করতে চায় তাহলে খুব সহজে আপনার সাথে নতুন নাম্বারে ফোন করার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে এই ভুলটি করে থাকে যে নতুন একটা সিম কেনার পর কারো সাথে নাম্বার শেয়ার করে না।
আর পরবর্তী সময় দেখা যায় তার সাথে যদি কেউ যোগাযোগ করতে চায় তাহলে তার নতুন সিমের নাম্বার সবার কাছে না থাকায় কেউ তার সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। এতে করে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আর তাই এই জন্য এই সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই নতুন সিম কেনার পর আপনার প্রিয় পরিচিত সবার সাথে নাম্বারটা শেয়ার করবেন।
নতুন একটি সিম কেনার পর যদি আপনি উপরের বিষয়গুলো ভাল ভাবে চেক করেন তাহলে সেই সিম টি আপনি ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার বিভিন্ন সমস্যায় নতুন সিম কেনার পর পড়তে হবে না। আমরা অনেকেই এই ভুলটা করে থাকি যে নতুন একটি সিম কেনার পর উপরের কাজ গুলো না করার কারণে।
পরবর্তী সময়ে আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সেবাগুলো নতুন সিমের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারি না। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি ভালভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন যে নতুন সিম কেনার পর আপনার কি কি করতে হবে।
এরপরও যদি আপনি না জানতে ও বুঝতে পারেন যে আপনার একটি নতুন সিম কেনার পর কি কি করা উচিত। তাহলে অবশ্যই আমাদের কে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যাতে করে আমরা আপনাকে আরো ভালো ভাবে জানানোর অথবা বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে, নতুন একটি সিম কেনার আপনার কি কি করতে হবে।
