চলতি বছর মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় গড় পাসের দিক থেকে এগিয়ে আছে মাদ্রাসা বোর্ড। পাশাপাশি গতবারের চেয়ে এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ বেড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে এ বছর পরীক্ষার্থী ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮১৫ জন। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ৪১০ জন। মোট পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছর (২০২২) পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৭১০ জন। গত বছর মোট পাসের হার ছিল ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
এ বছর ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৮২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৪ দশমিক ৭৫ শর্তাংশ, যশোর বোর্ডে ৮৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৭৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৮৫ দশমিক ২২ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৮০ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি এই তিন ধারার শিক্ষার মধ্যেও এগিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। এ বছর গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসএসসিতে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, কারিগরি বোর্ডে ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৫১।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে, তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দশ বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবার পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৫ জন।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ ছাত্রী এবং ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ ছাত্র।
এসএসসিতে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৫ মার্চ শেষ হবে।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি শেষ হয় এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হয় ৬ মার্চ।
ফল জানবেন যেভাবে:
শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টার পর থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন। নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এ জন্য SSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামে প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
আর মাদ্রাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এ ছাড়া কারিগরি বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল জানতে ssc লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এ ছাড়া www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ফল ডাউনলোড করা যাবে।
প্রথা অনুযায়ী, আগে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পাবলিক পরীক্ষার ফলের অনুলিপি তুলে দেয়া হতো। এর পর শিক্ষামন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ফলের বিস্তারিত জানাতেন। কিন্তু এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন সফরে থাকায় তা হলো না।
তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি টেলিফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংযুক্ত করেন। পরীক্ষায় যারা কৃতকার্য হয়েছেন, তাদের প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান।