শিক্ষা সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সমন্বিত পরীক্ষা বাস্তবায়ন করতে চান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করলে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানান তিনি।

বুধবার (১০ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দূর-দূরান্ত থেকে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা ঢাকায় ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসেন। তাদের অনেককেই অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাস্তবায়ন হলে এ দুর্ভোগ দূর হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই মেডিকেল কলেজের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে। অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহযোগিতা করলে এটি আয়োজন করা সম্ভব হবে।

দীপু মনি বলেন, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এটির বিরোধিতা করে। কিন্তু সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের জন্য খুবই জরুরি।

দেশের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ ছাত্র-ছাত্রী এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। জুলাইয়ে ফল প্রকাশের পর শুরু হবে ভর্তিযুদ্ধ। বর্তমান নিয়মে এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। তাতে ভোগান্তির পাশাপাশি প্রচুর অর্থও খরচ হয়।

অন্যদিকে দেশের সব মেডিকেল কলেজে একই দিন এক প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদও গত বছর এক অনুষ্ঠানে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা চালুর বিষয়ে ভাবার তাগিদ দেন। সরকারের গত মেয়াদে এ পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন পক্ষের বিরোধিতায় তা আলোর মুখ দেখেনি।

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩ সালে সমন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করেও শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের মুখে তা বাতিল করে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মেডিকেলে সমন্বিত করতে পারি, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পারব না? আমার বিশ্বাস যদি সবার একটু সদিচ্ছা থাকে তাহলে নিশ্চয়ই পারবো। এ ক্ষেত্রে আশা করি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহযোগিতা করবে।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.