পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নে রং বদলে যাচ্ছে। নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন বিতরণে উল্টাপাল্টা হওয়ায় উভয় পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নের রং ভিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছর আয়োজিত এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের প্রশ্নের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষাবর্ষের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। ভালো প্রস্তুতির পরও ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়ায় আশানুরূপ উত্তর দিতে সক্ষম হয়নি অনেকে। এ কারণে পরীক্ষা শেষে অনেকের আর্তনাদ শোনা যায়। একটি কেন্দ্রে পুনরায় সঠিক প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়। কয়েকটিতে ভুল প্রশ্নের উপরে খাতা বিশেষভাবে মূল্যায়ন করা হবে বলে বিভিন্ন বোর্ড থেকে জানানো হয়।
অন্যদিকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। এদিন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের তিন পরীক্ষা কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন জেলার ২০২৪ সালের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৬ ও অন্যান্য সালের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়। অথচ অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য এসব প্রশ্ন তৈরি করা হলেও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষার ভুল প্রশ্ন বিতরণ করার ঘটনা তদন্ত করে তার সত্যতা পাওয়া যায়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এসব ঘটনা আমলে নিয়ে পাবলিক পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের রং ভিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউর হক রোববার বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন রংয়ের প্রশ্ন তৈরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা থেকে ভিন্ন রংয়ের প্রশ্ন বিতরণ করা হবে। দ্রুতই বিজি প্রেসের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী এসএসসি পরীক্ষা থেকে অনিয়মিত যতগুলো বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ততগুলো রংয়ের প্রশ্ন তৈরি করা হবে। কোন বর্ষের কি রংয়ের প্রশ্ন তৈরি করা হবে তা পরীক্ষা কেন্দ্র সচিবদের আগেই ধারণা দেয়া হবে। তাই প্রশ্নের রং দেখেই সহজেই কোন বোর্ডের প্রশ্ন তা শনাক্ত করতে পারবেন শিক্ষকরা। ফলে আর প্রশ্ন বিতরণে ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।