শিক্ষাবৃত্তি

নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই বুধবার ঢাকা মহানগরীর সরকারি হাইস্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর এই ফল প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে পূর্বনির্ধারিত তারিখের আগেই এই ফল প্রকাশ করা হলো।

বুধবার রাজধানীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম ফারুক এ ফল ঘোষণা করেন।

ফলাফলে দেখা গেছে, এবার ঢাকার ৪১টি হাইস্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। হাইস্কুলগুলোতে তিন গ্রুপে ভাগ করে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ৪১টি হাইস্কুলের মধ্যে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপে ১৪টি করে এবং ‘গ’ গ্রুপে ১৩টি হাইস্কুল আছে। এর মধ্যে ৩৮টি হাইস্কুলে ১২ হাজার ৩৬৬টি আসন আছে। ১৭ হাইস্কুলে প্রথম শ্রেণিতে এক হাজার ৯৬০টি আসন। এ ছাড়া দ্বিতীয শ্রেণিতে ৮৪৯টি, তৃতীয় শ্রেণিতে দুই হাজার ১২৬টি, চতুর্থ শ্রেণিতে ৮২২টি, পঞ্চম শ্রেণিতে ৮৪৯টি, ষষ্ঠ শ্রেণিতে তিন হাজার ৫৫৭টি, সপ্তম শ্রেণিতে ৭৩৮টি, অষ্টম শ্রেণিতে ৯৯৭টি আসন রয়েছে।

ফলাফলের বিষয়ে মাউশি’র পরিচালক (বিদ্যালয়) অধ্যাপক মান্নান বলেন, বুধবার রাজধানী ঢাকার সবকয়টি সরকারি বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর ফল প্রকাশের সময় নিধারণ করা হলেও নির্বাচনের কারণে দুই দিন আগেই এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন-বিতরণ, পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণসহ সব কিছুই সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৬০০টি করে খাতা মূল্যায়ন করা হয়েছে। শিক্ষকরা দায়িত্বপূর্ণভাবে এসব খাতা মূল্যায়ন করেছেন। স্ব-স্ব বিদ্যালয়ের সুবিধামতো সময়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু করা যাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মোট আসনের ১০ শতাংশ কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ঢাকা মহানগরীর সরকারি বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে। অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ আসন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য দুই শতাংশ কোটা রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য দুই শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। দুই শতাংশ কোটায় ভর্তি প্রার্থী না পাওয়া গেলে সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য হতে যথানিয়মে তা পূরণ করা হবে। কোনোক্রমেই কোটা শূন্য রাখা যাবে না।

I hope you are enjoying this article. Thanks for visiting this website.